শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা। ঘনকুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে সড়ক ও নৌযোগাযোগ। এছাড়া, ঘন কুয়াশায় প্রতিদিন সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই এলাকার দোকান-পাট বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড় ও যশোরে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বরিশাল: ঘন কুয়াশার কারণে শনিবার সকালে এভাবেই ফেরিগুলো নোঙ্গর করে রাখা বরিশালে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্যের দেখা মিললেও কমেনি শীতের প্রকোপ। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রান্তিক ও ছিন্নমূল মানুষের।
রাজশাহী: রাজশাহীতে কয়েকদিনের হিমেল হাওয়ায় জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় চাদরে ঢাকা পড়েছে চারপাশ। এরপরও জীবিকার তাগিদে ঘর থেকে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন নগরবাসী।
পঞ্চগড়: পঞ্চগড়েও শীতের প্রকোপ বাড়ছে। শনিবার ভোরে এখানে বৃষ্টির মতো গুড়ি গুড়ি কুয়াশা পড়তে দেখা যায়। কাজে যেতে না পেরে দুর্ভোগে পড়েন ছিন্নমূল মানুষ।
ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহে শীতের তীব্রতায় ব্যাহত হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন চলাচল। দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যান চলাচল করে। শীতকে পুঁজি করে ভাড়া বেশি নেয়ার অভিযোগ যাত্রীদের।
চুয়াডাঙ্গা: এদিকে, শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও কোল্ডস্ট্রোকসহ বিভিন্ন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গত এক সপ্তাহে সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে প্রায় দেড় হাজার রোগী চিকিৎসা নেন।
এছাড়া নাটোর, কুড়িগ্রাম ও শরীয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরকারের পক্ষ থেকে শীত বস্ত্র বিতরণ করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় কম বলে জানান হতদরিদ্ররা।