বিপিএলের পঞ্চম আসরে বিদেশি ক্রিকেটারদের আধিপত্য নিয়ে আলোচনা আর দেশি ক্রিকেটারদের ব্যর্থতা নিয়ে সমালোচনা কম হচ্ছে না। তবে কয়েকটি নতুন মুখ আশা জাগাচ্ছে দেশের ক্রিকেটে। পর্দার আড়াল থেকে উঁকি দিয়ে আলো ছড়নো সেই মুখগুলোর একটি খুলনা টাইটানসের আরিফুল হক। বিপিএলের চলতি আসরের এ আবিস্কার এরিমধ্যে পরিণত হয়েছেন মাহমুদুল্লাহদের নির্ভরতরা অন্যতম প্রতীকে।
সিলেটে ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৫ রান। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ব্যাট করার সুযোগই মেলেনি। নিজেকে প্রথম মেলে ধরেন চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে, ২৫ বলে করেন ৪০ রান। পরের ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৪ রানে অপরাজিত। চিটাগংয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে করেন ২৪ বলে ৩৪।
আর সবশেষ মঙ্গলবার রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ম্যাচটিতে আরিফুল দেখিয়েছেন তাঁর আসল সামর্থ্য। খাদের কিনারা থেকে এক হাতে বের করে এনেছেন দলকে। 'হেরে যাওয়া' ম্যাচটাকে জিতিয়েছেন লড়াই করে।
১৬৭ রানের টার্গেটে ১৭ ওভার শেষে খুলনার স্কোর ছিলো ১৩১। হাতে ছিলো মাত্র দুইটি উইকেট। জয়ের জন্য দরকার ৩৬ রান। ব্যাট করছেন আনকোরা আরিফুল হক সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বোলার জুনায়েদ খান। বলতে গেলে জয় দেখছিলেন রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। তবে শেষ দিকের একেকটি বল গড়িয়েছে আর নিজের বিধ্বংসী রূপ দেখিয়েছেন আরিফুল। মোহম্মাদ সামী, ডোয়াইন স্মিথদের একের পর এক সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। খাদের কিনারা থেকে দলকে এনে দিয়েছেন দুর্দান্ত জয়। শেষ ওভারে দরকার ছিলো ৯ রান। স্বদেশী ডোয়াইন স্মিথের হাতে বল তুলে দেন ড্যারেন স্যামি। ওভারের প্রথম বলটি ফুলটস। একটুও ভুল করলেন না আরিফুল। হাওয়ায় ভাসিয়ে পার সীমানা পার করলেন। পরের বলটি চারে পরিণত করে আরিফুলের বুনো উল্লাস।
ম্যাচে পর ফিনিশার আরিফুলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। এমন জয় এনে দেয়ায় এবার সতীর্থকে প্রসংসায় ভাসালেন দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লা রিয়াদ। আজ (বুধবার) নিজের ভেরিফাইড
ফেসবুক পেজে ক্যাপ্টেন কুল লিখেছেন, 'আলহামদুলিল্লাহ! খুব ভালো একটা জয় এবং আরিফুল প্রেরণাদায়ক একটি ইনিংস খেলেছে। ওয়েল ডান কে টি (খুলনা টাইটান্স)।'
ঢাকার প্রথম পর্ব শেষে ৭ ম্যাচে চার জয় এবং দুই পরাজয়ে খুলনার পয়েন্ট ৯। টেবিলে তাদের অবস্থান তিন নম্বর।
/এসএম