দীর্ঘ ৩২ বছর পর বাংলাদেশের কাছে সুযোগ এসেছিলে ২য় বারের মতো এশিয়া কাপের হকির আয়োজক হওয়ার। কিন্তু ফেডারেশন আর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের দ্বন্দ্বের কারণে সেই সুযোগ এবার হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা। কারণ টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য এএইচএফ কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছিলো।
যার প্রধান শর্ত ছিলো ফ্লাডলাইট প্রতিস্থাপন। কিন্তু মার্চের ৩য় সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ফ্লাডলাইট নিয়ে এখনো অন্ধকারে বাহফে। এজন্য ফেডারেশন ও এনএইচসি কর্তারা দায়টা চাপালেনে একে-অন্যকে।
ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক কিংবা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পরস্পর বিরোধী কথাতেই স্পষ্ট, আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে কতটা গোলক ধাঁধায় তারা।
সদ্য সমাপ্ত ওয়ার্ল্ড হকি লিগের রাউন্ড-২ এর সফল আয়োজনের পর বাহফের কাছে চ্যালেঞ্জটা ছিলো অক্টোবরে ঘরের মাঠে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপের আয়োজনের ব্যাপারে।
কিন্তু আন্তর্জাতিক নিয়মানুসারে কোন টুর্নামেন্টের ক্ষেত্রে সেই দেশে পাশাপাশি দুটি স্টেডিয়াম কিংবা একমাত্র স্টেডিয়াম থাকলে সেখানে ফ্লাডলাইট থাকাটা বাধ্যতামূলক।
সে লক্ষ্যে গত বছরই ফ্লাডলাইটের প্রতিস্থাপনের জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে ১০ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলটার কারণেই মূলত এখন শুরুই হয়নি টেন্ডার প্রক্রিয়া।
তাইতো গত বৃহস্পতিবার এশিয়ান হকি ফেডারেশন বাহফে'কে হুঁশিয়ারি দেয় অক্টোবরে ৯ তারিখের মধ্যে ফ্লাইডলাইট স্থাপন করা সম্ভব না হলে টুর্নামেন্ট সরিয়ে নেয়া হবে অন্য কোন দেশে।
আগামী ১৪ থেকে ২২ অক্টোবর ৮ দলের অংশগ্রহণে ঢাকায় শুরু হওয়ার কথা এশিয়াকাপের ১০ম আসর।