হঠাৎ করে টানা দুই সপ্তাহে সব ধরনের চিকন চাল কেজিতে ৪ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। গেল সপ্তাহে মন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরও কমেনি দাম। রাজধানীর পাইকারি চাল বিক্রেতারা বলছেন, মিল মালিকদের দাম বাড়ান ছিল অযৌক্তিক। চালের বাজার স্বাভাবিক রাখতে উৎপাদন পর্যায়ে সরকারি তদারকি বাড়ানো দরকার বলেও মনে করেন তারা।
বছর দুয়েক আগে হাওরে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন না হওয়া এবং সরকারি মজুদের ঘাটতিকে পুঁজি করে চালের বাজার টালমাটাল হয়। সে সময় বিনাশুল্কে চাল আমদানির সুযোগ দেয়ার পাশাপাশি অভিযান চলে চালকল আর গুদামে। সে সময়ের খাদ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন চাল, গমের মতো খাদ্যপণ্যে ব্যবসায়ীদের মুজদের হালনাগাদ তথ্য দিতে হবে জেলা ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কাছে।
দুই বছর পার হলেও এ নির্দেশ মাঠ পর্যায়ে কার্যকর হয়নি।
এ বিষয়ে এক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের কাছে কী পরিমাণ রিজার্ভ আছে সে পরিসংখ্যান বা তথ্য দেওয়া এখনও শুরু হয়নি।
এ ব্যবসায়ীর কথাতেই বোঝা যায় দেশের চালকল বা গুদামগুলোতে কোন জাতের কী পরিমাণ চাল আছে তার সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই। আর এ সুযোগেই গত কয়েক মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন ও কৃষকদের ন্যায্য দাম না পাওয়ার ধারাবাহিকতার উল্টোচিত্র চালের বাজারে।
অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, সপ্তাহ গেলেই বস্তায় ৫০ বা ১শ’ টাকা করে বাড়ছে। এভাবেই দিন দিন চালের দাম বৃদ্ধি পেতে পেতে এ পর্যন্ত এসে থেমেছে।
আমন মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্র্রহে সরকার দাম নির্ধারণ করেছে যথাক্রমে ২৬ ও ৩৬ টাকা কেজি। তাই মিল মালিকরা তাদের কমদামে কেনা মজুদ ধান-চালে বড় অঙ্কের মুনাফার সুযোগ নিচ্ছেন বলে মনে করেন পাইকাররা।
চাল ব্যবসায়ী বলেন, সরকার চালের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে, এর কিছুটা প্রভাব মনে হয়ে পড়েছে। মনিটরিংটা যদি আবার চালু করা যায়, তাহলে চালের বাজার সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
সম্প্রতি খাদ্যমন্ত্রীও এক সংবাদ সম্মেলনে অন্যবারের তুলনায় চালের বাড়তি সরকারি মজুদের তথ্য তুলে ধরে দাবি করেন, চালের দাম বাড়ার কোনো যুক্তি নেই।