ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দবাগে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ১৬ জনের প্রাণহানির ঘটনায় তূর্ণা-নিশীথার চালক, সহকারী চালক ও গার্ডকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে রেলওয়ে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন পরিচালনার জন্য শুধু চালক নয়, স্টেশন মাস্টার, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, সিগন্যালিং ব্যবস্থাপনাও সমানভাবে কাজ করে। সুতরাং কাউকে এককভাবে দায়ী করা সম্ভব নয়। তবে কারিগরি দিকগুলো উঠে না আসায় এটিকে দায়সারা তদন্ত বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চালকের গাফিলতির কারণে ঘটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রেল দুর্ঘটনা। তবে চালক কি গাফিলতি করেছেন সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছুই বলা হয়নি তিনটি প্রতিবেদনের একটিতেও। ট্রেনের চালকরা বলছেন, প্রতিটি দুর্ঘটনার জন্য মাস্টার, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ও ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ সমানভাবে দায়ী থাকে।
উদয়ন এক্সপ্রেসকে ক্রসিং দিতে গিয়ে তূর্ণা নিশিথার চালক পরপর তিনটি সিগন্যাল অমান্য করেছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু চালকরা বলছেন, স্টেশন মাস্টার একটি ট্রেনকে না থামিয়ে অন্যটিকে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন যা দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিবেদনে ট্রেন পরিচালনের কারিগরি দিকের কিছুই প্রকাশ করা হয়নি।
বুয়েটের সহকারী অধ্যাপক কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, শুধু চালককে দোষ দেয়া হলে সেই প্রতিবেদন সঠিক হবে না। এখানে স্টেশন মাস্টারেরও দোষ থাকতে পারে। সব বিষয়গুলো প্রতিবেদনে উঠে আসা উচিত।
অধিকাংশ দুর্ঘটনা সিগন্যাল ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক ও টেলিকমিউনিকেন্সের অভাবের কারণে হয়ে থাকে জানিয়ে দুর্ঘটনারোধে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।