কয়েক মিনিটের দূরত্ব চট্টগ্রামের পাথরঘাটার ভয়াবহ বিস্ফোরণ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে ছোট্ট অর্ণবকে। বোন আর খালার জন্য নাশতা আনতে গিয়ে ফিরে এসে দেখে গ্যাসের পাইপলাইন বিস্ফোরণে ধ্বংসের চিহ্ণ।
অর্নব কুমার নাথ। ভাগ্যই তাকে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরিয়ে এনেছে। রোববার পাথরঘাটায় বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণের কয়েক মিনিট আগে বিষ্ফোরিত রুম থেকে বের হয়ে নাস্তা আনতে গিয়েছিলো সে। এসে দেখে চারিদিকে আর্তনাদ আর অন্ধকার। দেখেছে স্বজনদের মর্মান্তিক দৃশ্য। তার চোখে মুখে এখনো আছে সেই দিনের ভয়াবহতার দৃশ্য। মাঝে মাঝে মা মনি রানি দেবীকে নিয়ে ঘুরছেন ধ্বংসস্তুপে।
অর্ণব কুমার নাথ বলেন, এখানে পাথরের নিচ থেকে আমার মাসী ও একজনকে উদ্ধার করে পিকআপে করে যাওয়ার সময় আমার বোনকে পড়ে আছে দেখতে পাই। পরে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করাই।
মা মনি রানি দেবী বলেন, মেডিকেলে গিয়ে আমার মেয়েকে দেখলাম, ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে আছে, তারপর আমার বোনকে দেখলাম, বোনের বুকে আঘাত পাইছে।
অর্ণবের খালা সন্ধ্যা রানি দেবী আর বোন অর্পিতা দেবী মৃত্যুর সাথে লড়ছেন এখন হাসপাতালে। ধ্বংসস্তুপে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে স্বজনদের ছবি আর অর্ণবের ব্যবহারের জিনিসপত্র। মা-বাবা বাইরে থাকায় তারাও বেঁচে যান ভাগ্যক্রমে।
অর্নবের স্বজন বলেন, পাথর সরিয়ে প্রায় ৭ জনকে উদ্ধার করে পিকআপ দিয়ে হাসপাতালে পাঠাই। এরপর আবারও কয়েকজনের দেহ দেখতে পেয়ে তাদের উদ্ধার করে পুলিশের পিকআপে করে হাসপাতালে পাঠাই।
অর্ণবের মতো আহত আর নিহতদের স্বজনরাও ভিড় করছেন ধ্বংসস্তুপে এসে।
একজন বলেন, হাসপাতালের আইসিইউ তে আমার বড় ভাই আছে, তার অবস্থা খুব খারাপ।
রোববার চট্টগ্রামের পাথরঘাটার বড়ুয়া ভবনে বিস্ফোরণে ৭ জনের মৃত্যু হয়। আর আহত হন ২৫ জন।