চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা'র লোকোমাস্টার তাছের উদ্দিন এবং সহকারী লোকোমাস্টার অপু দে সিগন্যাল অমান্য করার কারণেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে রেলের তদন্ত কমিটি। একইসঙ্গে ট্রেন পরিচালনায় ব্যর্থতার জন্য গার্ড আবদুর রহমানকেও দায়ী করা হতে পারে তদন্ত প্রতিবেদনে।
দুর্ঘটনা কবলিত তূর্ণা নিশীথা এবং উদয়ন এক্সপ্রেসের অন্তত ৩০ জন কর্মচারীর জবানবন্দিতে উঠে এসেছে গতকালের রেল দুর্ঘটনার যাবতীয় তথ্য।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরে দুর্ঘটনা কবলিত চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের লোকোমাষ্টার, সহকারী লোকোমাষ্টার, গার্ডসহ অন্যান্য কর্মচারীদের জবানবন্দী নেয়া শুরু করে রেলওয়ের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি। দু'টি ট্রেনের এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও স্টেশন মাষ্টার, ট্রেনে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যদের জবানবন্দী গ্রহণ করেন তদন্ত দলের সদস্যরা।
দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন দু'টির কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের জবানবন্দীর মাধ্যমে তদন্ত কমিটি অনেকটা নিশ্চিত হয়েছে তূর্ণা এক্সপ্রেসের লোকোমাষ্টার এবং সহকারী লোকোমাষ্টার সিগন্যাল অমান্য করে দ্রুত গতিতে ট্রেন চালানোতেই দুর্ঘটনা ঘটে। দু'একদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তদন্ত দলের প্রধান।
রেল দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটির আহবায়ক নাজমুল হোসেন বলেন, সিগন্যাল অমান্য করার কারণে হইছে। এখন কি কারণ, কেনো হয়েছে তা সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আমরা যাচাই বাছাই করবো।
তবে প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত তূর্ণা নিশীথার লোকোমাষ্টার তাছের উদ্দিন, সহকারী লোকোমাষ্টার অপু দে এখন পর্যন্ত তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হননি। তারা বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন। তবে গার্ড আবদুর রহমান তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোররাতের এই দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং আরো অন্তত একশজন আহত হয়।