হোটেল কক্ষের সামনে খেলছে ছোট্ট শিশু। বয়স চার বছর। কিন্তু হোটেল কর্মীদের দেখে দৌঁড়ে কক্ষে প্রবেশ করে শিশুটি। এতে সন্দেহ হয় হোটেল কর্মীদের। তারাও এগিয়ে যান। দেখেন কক্ষের মধ্যে ঝুলছে তরুণীর লাশ। পরে রহস্য জানাল সেই শিশু।
বুধবার সকালে কলকাতার নিউ দিঘার একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটেছে বলে খবর দিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।
খবরে বলা হয়েছে, হোটেলকর্মীরা দেখতে পান, কক্ষের মধ্যে খাটের ঠিক উপরে সিলিং পাখা থেকে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে এক তরুণীর দেহ। সামনের দিকে করে তার হাত বাঁধা।
হোটেল কর্তৃপক্ষ বিষয় তাৎক্ষণিক পুলিশকে জানান। কিন্তু পুলিশ এসে প্রথমে কূলকিনারা করতে পারছিলেন না।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণী মঙ্গলবার বিকেলে দিঘার ওই হোটেলে ওঠেন। হোটেলে জমা দেওয়া আধার কার্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০ বছর বয়সী তরুণীর নাম পিয়ালি দেড়ে। বাড়ি ডানকুনির হেমনগর ক্ষুদিরাম পল্লীতে।
পুলিশকে হোটেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই তরুণী একাই উঠেছিলেন হোটেলে। সঙ্গে ছিলেন তার চার বছরের ছেলে। কিন্তু পুলিশ নিশ্চিত হয়, খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ আত্মহত্যা করলে নিজের হাত বেঁধে গলায় ফাঁস লাগাতে পারেন না। তরুণীর দু’হাত জড়ো করে একটি রুমাল দিয়ে বাঁধা ছিল।’
তদন্তকারীদের দাবি, খাটের উপর থাকা তোষক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যাতে তরুণীর পা খানিকটা শূন্যে থাকে। না হলে পা মাটিতে ঠেকে যাচ্ছিল। আততায়ীই বিছানা সরিয়ে শ্বাসরোধের ব্যবস্থা করেছে বলেই তাঁদের অনুমান।
কিন্তু রহস্যের কিনারা পাচ্ছিল না পুলিশ। রহস্য ভেদে সাহায্য করে তরুণীর চার বছরের শিশু পুত্র। পুলিশকর্মীরা তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন। শিশুর সঙ্গে কথা বলতে গিয়েই পুলিশ জানতে পারে, গভীর রাতে শিশুটির বাবা অর্থাৎ তরুণীর স্বামী এসেছিলেন। সেখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ, খুনের পিছনে হাত রয়েছে তরুণীর স্বামীর।