আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রথম ব্যাচে প্রায় ৭৩ বিদেশি নাগরিককে স্থায়ী বসবাসের ‘প্রিমিয়াম’ মানের অনুমতি দিয়েছে দেশটি। সোমবার (১১ নভেম্বর) দেশটির সরকারি প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি সেন্টারের আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।
আরব নিউজ জানায়, গত মে মাস থেকে সৌদি আরবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির আবেদন শুরু হয়। হাজার হাজার আবেদনকারীর মধ্য থেকে দেশটিতে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া ব্যক্তিদের প্রথম ব্যাচে ১৯টি দেশের বিনিয়োগকারী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ রয়েছেন।
স্থায়ী বসবাসের এ অনুমতির জন্য আবেদনকারীদের এককালীন আট লাখ সৌদি রিয়াল (এক কোটি ৮০ লাখ বাংলাদেশি টাকা) দিতে হয়েছে। এর বিকল্প ব্যবস্থায় আবেদনকারীর প্রাথমিকভাবে প্রতিবছর নবায়নের উপযোগী এক লাখ সৌদি রিয়াল (২২ লাখ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়ার সুযোগ ছিল।
তেলনির্ভর অর্থনীতি থেকে বেরিয়ে বহুমুখী ক্ষেত্র চালুর অংশ হিসেবে সৌদি আরবে বিদেশিদের জন্য স্থায়ী বসবাসের অনুমতির সুযোগ তৈরি করল দেশটি। স্থায়ী বসবাসের অনুমতির প্রিমিয়াম মানে অনুমতি পাওয়া ব্যক্তি দেশটিতে সম্পত্তি কিনতে এবং সৌদি কোনো স্পন্সর ছাড়াই ব্যবসা করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা পরিবারের সদস্যদের জন্য দেশটিতে ভিসা স্পন্সর করা ও দেশটিতে সহজে যাওয়া-আসার সুযোগ পাবেন।
২০১৬ সালে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিদেশিদের সৌদি আরবে স্থায়ী বসবাসের অনুমতির বিষয়টি সামনে নিয়ে আসেন। ওই সময়ে তিনি ধারণা দেন, এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সৌদি আরব ২০২০ সালের মধ্যে অতিরিক্ত ১০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব পেতে পারে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে সৌদিতে প্রচলিত স্পন্সরশিপভিত্তিক ব্যবস্থায় একজন সৌদি নাগরিক স্পন্সর হতে রাজি হলে দেশটিতে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বসবাসের করতে পারেন বিদেশিরা। এ ব্যবস্থার আওতায় প্রায় এক কোটি বিদেশি সৌদি আরবে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন।