ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলার অসংখ্য মাছের ঘের। এর মধ্যে সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাটের কয়েক হাজার বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘের। চিংড়ি চাষিরা বলছেন, চলতি মৌসুমে যখন চিংড়ি তোলার সময় হয়েছে ঠিক তখনই বুলবুলের আঘাতে সব ভেসে গেছে।
বাগেরহাট জেলার প্রায় সবকটি উপজেলাতেই গলদা ও বাগদা চিংড়ির চাষ হয়ে থাকে। তবে গলদা চিংড়ির উৎপাদন বেশি। গেল রোববার ঘূর্ণিঝড় বুলবুল খুলনা উপকূলে আঘাত হানলে কৃষি জমির পাশাপাশি এসব চিংড়ি ঘের অতিরিক্ত পানির চাপে ভেসে যায়। প্রান্তিক মাছ চাষিরা বলছেন, রফতানি যোগ্য গলদা চিংড়ি ঘের থেকে ভেসে যাওয়ায় চলতি বছর লোকসানের মুখে পড়তে হবে। সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ এবং ফকিরহাট ও মোল্লাহাট উপজেলার গলদা চিংড়ি ঘের। আর জেলার মোংলা ও রামপালের বাগদা চিংড়ি ঘের মালিকরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলছেন, প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী জেলায় ৭ হাজার ২৩৪টি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ক্ষতি চিংড়ি রফতানিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না বলে দাবি তার।
অন্যদিকে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ সার্বিক ক্ষতি নিরূপণ সাপেক্ষে চিংড়ি চাষিদের সহায়তার আশ্বাস দেন।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় চিংড়ি ঘেরে ক্ষতির পরিমাণ ২৫ টন, যার মূল্য আনুমানিক ৩ কোটি টাকা।