হাজার হাজার মানুষকে ভক্ত বানিয়েছেন তেল-পানির বোতলে ঝাড়ফুকের কাঠুরিয়া কবিরাজখ্যাত সবুজ মিয়া। কিশোরগঞ্জে শনিবার (৯ নভেম্বর) ৫০ সহস্রাধিক নারী-পুরুষের উপস্থিতিতে মাইকে ফুক দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি।
জানা গেছে, সবুজ মিয়ার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার রাজৈ ইউনিয়নের পায়লা বেড় গ্রামে। তার বাবা মৃত মোহাম্মদ সায়েদ ফকির। সায়েদ ফকিরও কবিরাজি করতেন।
বাবার মৃত্যুর পর সবুজ মিয়া বন থেকে কাঠ কেটে জীবিকার্জন করতেন। দুই বছর আগে হঠাৎ একদিন আধ্যাত্মিক শক্তিলাভের অবিশ্বাস্য ও অবাস্তব গল্প প্রচার শুরু করেন সবুজ মিয়া। শুরু করেন কবিরাজি ও ঝাড়ফুক।
তার বাবার কবিরাজির গল্প জানতো এমন বহু মানুষ রোগ-বালাই থেকে মুক্তি পেতে, মনোবাসনা পূর্ণ করতে কিংবা জিন-ভূতের আছর তাড়ানো, সন্তান লাভ ইত্যাদির আশায় ঝাড়ফুক হাজির হতে শুরু করে তার কাছে।
কবিরাজি পেশায় তার প্রসার ঘটতে থাকে স্থানীয় একশ্রেণির প্রভাবশালী লোকজনের ছত্রছায়ায়। কিছুদিনের মধ্যেই তার বাড়ি হয়ে ওঠে ঝাড়ফুকের এক বিশাল আস্তানায়।
২০১৬ সালে স্থানীয় প্রশাসন তার আস্তানা বন্ধ করে দেয়। অদৃশ্য শক্তি বলে কিছুদিনের মধ্যেই চালু হয়ে তার আস্তানা আবার সরগরম হয়ে ওঠে।