ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ব্যাপক্ষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পিরোজপুরে। ঝড়ে বসত ঘরের উপর গাছ চাপা পরে নাজিরপুর উপজেলায় ননী গোপাল নামের এক বৃদ্ধ এবং ভান্ডারিয়া উপজেলায় পানিতে ডুবে এক শিশু নিহত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক বসতঘরসহ অসংখ্য গাছপালা ও বিদ্যুৎ লাইনের। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে কৃষিজমি ও মাছের ঘেরের।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচণ্ড বেগে সকাল ১১টার দিকে বাতাস বইতে থাকে পিরোজপুরের উপর দিয়ে। এ সময় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি এবং উপড়ে পড়ে অসংখ্য গাছপালাসহ বিদ্যুৎ লাইনের শতাধিক খুটি। এদিকে জোয়ারে নদী ও খালের পানি বৃদ্ধি পেয়ে তলিয়ে যায় মাছের ঘের ও পুকুর। এছাড়া শনিবার মধ্যরাত থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি পড়তে থাকে যা রোববার (১০ নভেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে থেমে যায়। আর বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে শনিবার রাত থেকেই। বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানির নেটওয়ার্ক বন্ধ রয়েছে। এতে সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে পড়েছে।
তবে রাস্তার উপর থেকে গাছপালা সরিয়ে সড়কগুলোকে চলাচল উপযোগী করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের লোকজন। তবে কবে নাগাদ এ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা এখনও বলতে পারেনি উদ্ধারকারীরা।
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দাবি তাদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রয়োজন সরকারি সহায়তা।