তেজষ্ক্রিয় দূষণকারীদেরই বর্জ্য অপসারণের সব ব্যয় বহন করতে হবে। সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত জাতীয় নীতিমালার খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
পরে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নীতিমালা ও চুক্তি অনুসারে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়া তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবে।
পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র অপারেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ থেকে উৎপাদিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনাই এখন সবচেয়ে বেশি ভাবিয়ে তুলেছে। এ অবস্থায় রূপপুরের বর্জ্যসহ সব ধরনের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির নিরাপদ ব্যবস্থাপনায় গঠিত জাতীয় নীতিমালার খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে আয়োজিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, নীতিমালা ও চুক্তি অনুসারে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়া তাদের দেশে ফেরত নিয়ে যাবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, রূপপুরে যে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হয়েছে। এটা যে বর্জ্য সেট চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া নিয়ে যাবে।
দেশে গবেষণা চুল্লী, চিকিৎসা, খনিজসম্পদ আহরণ ও কৃষিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়কে অধিক গুরুত্ব দেয়ার কথা জানান তিনি।
শফিউল আলম বলেন, গবেষণা চুল্লি, নিউক্লিয়ার পাওয়ারপ্লান্ট এন্ড অপারেশন, চিকিৎসা শিল্প, খনিজ সম্পদ আহরণ। প্রবৃদ্ধি ক্ষেত্রে জেজস্ত্রিয় পদার্থের ব্যবহার। তার মানে এই সমস্ত কাজে কিন্ত অ্যাটোমিক এ্যানাজি ব্যবহার করা হয়। আমরা হয়তো খবর রাখি না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশ্বের দীর্ঘমেয়াদে শীর্ষ নারী সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন ও ভারতের এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক ট্যাগোর পিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত হওয়ায় মন্ত্রিসভায় ধন্যবাদ প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া, এবার দেশে সবচে বেশি সংখ্যক পূজামন্ডপে নির্বিঘ্নে পূজা উদযাপন হওয়ায় মন্ত্রিসভা সন্তোষ প্রকাশ করে বলেও জানান মত্রিপরিষদ সচিব।