সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমলেও যশোরে নিয়ন্ত্রণে আসছে না। প্রতিদিনই নতুন নতুন আক্রান্ত নারী-পুরুষ ও শিশু ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালে। ভুক্তভোগীদের দাবি, গ্রামাঞ্চলে মশক নিধন অভিযান না চালানোর কারণেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। আর স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, শুধু মশক নিধন অভিযান নয়, আরো অনেক কারণে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে ইউনিয়ন পর্যায়ে কাজ শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
গত ২১ জুলাই যশোরে প্রথম ডেঙ্গু রোগীর সন্ধান মেলে। এরপর দেড় মাসেরও বেশি সময়ে যশোরে ২ হাজার ২২৬ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছেন ৭ জন। আর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২ হাজার ১ জন। প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন যেসব রোগী আসছেন তাদের অধিকাংশই গুরুতর। আক্রান্ত ও তাদের স্বজনদের দাবি, গ্রামাঞ্চলে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান না চালানোর কারণেই ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুন নাহার অনন্যা বলেন, এখন আমরা কিছু সংখ্যক গুরুতর রোগী পাচ্ছি।
অবশ্য স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, কেবল মশক নিধন অভিযান নয়, আরো ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পেছনে যশোরের সাথে দেশের উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা, হালকা বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতাও দায়ী।
জেলা প্রশাসন বলছে, ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে পৌরসভার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়েও কাজ শুরু করা হয়েছে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ বলেন, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা গ্রহণের সক্ষমতা ইউনিয়নের নেই।
যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮৩ জন ডেঙ্গু রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আর বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ২৬৫ জন।