তিস্তাসহ দেশের উত্তরাঞ্চলের বেশ কিছু নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মধ্যাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নদীর দু'’পাড় উপচে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার ফসলি জমি, রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ি। পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বানভাসী মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও ভারতের ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানির চাপে কুসুমবাড়ি এলাকায় ভেঙে গেছে হাওড়া নদীর বাঁধ। এতে প্লাবিত হয়েছে আখাউড়া উপজেলার অন্তত ২৫টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়িসহ কৃষকের ফসলি জমি। এদিকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরির পাশাপাশি
পাহাড়ি ঢলের পাশাপাশি ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ৩ লক্ষাধিক মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকায় সুপেয় পানি ও শুকনো খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। এদিকে বানের পানিতে ডুবে জেলায় ৩ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছে আরও একজন।