সারাদেশে চলছে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পাইথন’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ। ৬৪ জেলার নির্ধারিত ২শ’র বেশি শেখ রাসেলে ডিজিটাল ল্যাবে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে শুরু হয় দু’দিনের কর্মশালা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, রাজশাহী, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের সব প্রথম দিনে দুই পর্বে পাইথন জুনিয়র ও পাইথন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। দ্বিতীয় ও শেষ দিন অর্থাৎ ১৯ জুন দুই পর্বে প্রশিক্ষণ শেষে ২০ জুন অনুষ্ঠিত হবে পাইথন জেলাভিত্তিক চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
আয়োজকরা জানান, গতবারের মতো এবারো ৬ষ্ঠ-৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পাইথন জুনিয়র এবং ৯ম-১০ম শ্রেণি ও সদ্য পাসকরা এসএসসি পরীক্ষার্থীরা পাইথন সিনিয়র ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছেন।

সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) অ্যাসোসিয়েট কো-অর্ডিনেটর তন্ময় আহমেদ বলেন, স্ক্র্যাচের মতো পাইথন প্রোগ্রামাররাও নির্ধারিত পরীক্ষা কেন্দ্রের পাশাপাশি নিজ নিজ স্কুলেও অনলাইনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন। দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতেই চূড়ান্ত পরীক্ষা অনলাইনেও সাবমিট করার সুযোগ রাখা হয়েছে।
জেলা পর্যায়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ‘স্ক্র্যাচ’ প্রশিক্ষণ কর্মশালার মধ্য দিয়ে গত ১৬ জুন সারাদেশে একযোগে শুরু হয় জাতীয় শিশু কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। ‘অবাক হচ্ছে বিশ্ব এবার, বাংলার শিশুরা প্রোগ্রামার’ শিরোনামে প্রতিযোগিতার আয়োজক সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং ইয়াং বাংলা।
জেলা পর্যায়ে বিজয়ীদের নিয়ে জাতীয় ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে সাভার শেখ হাসিনা যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে। প্রতি জেলা থেকে বিজয়ী স্ক্র্যাচ টিম এবং বিজয়ী পাইথন প্রতিযোগীরা জাতীয় ক্যাম্পে যোগ দিয়ে ফাইনাল প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে। সেখান থেকে বাছাই করা হবে সেরা টিম। সমাপণী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন বলে আশা করছেন আয়োজকরা।
এরআগে, গত সোমবার (১৭ জুন), জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় খুদে প্রোগ্রামারদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ‘স্ক্র্যাচ’ চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা। সকাল ৯ টায় শুরু হয়ে পরীক্ষা চলে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রায় ১১ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন- যেটিকে মাইলফলক হিসেবে দেখছেন আয়োজকরা।