নিউজিল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে কখনোই ওয়ানডেতে কোন ম্যাচ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। তবে টাইগার ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত পারফর্মেন্স নজর কেড়েছে সবার। সর্বোচ্চ রান কিংবা উইকেট। সবখানেই বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের আধিপত্য। যদিও ইনফর্ম সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি কিছুটা বিবর্ণ করবে ওয়ানডে সিরিজের রং'কে।
এশিয়া থেকে ফ্লোরিডা। ইউরোপ থেকে ক্যারিবিয়ান। কোথায় ওড়েনি টাইগারদের বিজয় কেতন! তবে এতসব পাওয়ার মাঝেও না পাওয়ার আক্ষেপের নাম ওশেনিয়া। কারণ এ মহাদেশে এখনও দ্বি-পাক্ষিক সিরিজের কোন ম্যাচেই রচিত হয়নি টাইগার বিজয় উপাখ্যান।
কিউইদের বিপক্ষে ৪র্থ আর ওশেনিয়া মহাদেশে ষষ্ঠবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে টিম বাংলাদেশ।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগের ৩১ দেখায় বাংলাদেশের জয় ১০টিতে। তবে এ পরিসংখ্যান স্বস্তি দেবে যখন শুনবেন সবশেষ ১৪ ম্যাচে কিউইদের ৫ জয়ের বিপরীতে টাইগার'রা জিতেছে ৯টি ম্যাচে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে সাকিব-মাহমুদুল্লার রেকর্ড জুটি এখনও করে রোমাঞ্চিত।
ওয়ানডেতে দু'দলের দ্বৈরথে সর্বোচ্চ ৫ রান সংগ্রাহকের তালিকাতেও বাংলাদেশিদের আধিপত্য। কিউইদের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ২০ ম্যাচে সর্বোচ্চ ৭৮৬ রান রস টেইলরের।
বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড ওয়ানডে সিরিজে এ পর্যন্ত শতকের দেখা পেয়েছেন ৯ ক্রিকেটার। যেখানে ইনজুরির কারণে না খেলতে পারা সাকিব ছাড়া মাহমুদুল্লাহ ও টেইলর এমন ম্যাজিক ফিগার ছুঁয়েছেন দু'বার করে। তামিম ইকবাল করেছেন সর্বোচ্চ ৫টি ফিফটি।
বোলিংয়ে শীর্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তিনি নিয়েছেন সর্বোচ্চ ৩৫ উইকেট। শীর্ষ ৮ বোলারের বর্তমান স্কোয়াডের রয়েছেন মাত্র ৪ ক্রিকেটার।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টাইগাররা ৩০০ রান টপকেছে ২০১৩ সালে ১বারই। যেখানে নিউজিল্যান্ড এমন কৃতিত্ব দেখিয়েছে ৫বার। এক সিরিজে সর্বোচ্চ ২২৮ রান নেইল ব্রুম'এর। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ২৪টি ছক্কা মেরেছেন রস টেইলর।
তবে এসব পরিসংখ্যান বিবর্ণ হয়ে যেতে পারে মাঠের পারফর্মেন্সে। অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের বৈরি কন্ডিশনে বিশ্বকাপের মোক্ষম প্রস্তুতিটা হয়ে যেতে পারে কিউই সফরেই। যেখানে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরতে হবে প্রথম ম্যাচ থেকেই।