স্বতন্ত্র চিন্তাধারা প্রকাশের এক অনন্য হাতিয়ার লিটলম্যাগ। অমর একুশে গ্রন্থমেলার এক সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও জমে ওঠেনি লিটলম্যাগ চত্বর। নেই চিরচেনা পাঠকদের পদচারণা। বিক্রি কম থাকায় অলস সময় পার করছেন এখানকার বিক্রেতারা। বইপ্রেমীরা বলছেন মেলার পরিসর বাড়ায় এই চত্বরে আসা হয় না। অন্যদিকে মেলার সময় গড়ালে বিক্রি বাড়বে বলে আশা বিক্রেতাদের।
সেই চিরচেনা বর্ধমান হাউজ আর বহেড়াতলা। যেখানে গোড়াপত্তন হয়েছিল একুশে গ্রন্থমেলার। সময়ের পরিক্রমায় বেড়েছে মেলার পরিসর। তবে লিটলম্যাগের শেকড় রয়ে গেছে এখানেই।
লেখকমাত্রই পৌঁছতে চান বৃহত্তর পাঠকের কাছে। হালের অনেক বড় লেখকই উঠে এসেছেন এই লিটলম্যাগ চত্বর থেকে। কিন্তু সে ঐতিহ্য আজ অতীত। নেই পুরনো জৌলুস ও কোলাহল। মেলার পরিসর বাড়ায় মূল আকর্ষণ এই চত্বরে নেই বলে অভিযোগ পাঠকদের।
মেলায় আগত পাঠকরা জানান, লিটলম্যাগ চত্বরের পরিসর ছোট হওয়ায় এবং বড় কবি সাহিত্যিকরা বড় স্টলগুলোতে থাকায় লিটলম্যাগের দিকে নজর পড়ছে কম।
লিটলম্যাগ কর্ণার ঘুরে দেখা গেল অবসর সময় পার করছেন বিক্রেতারা। তরুণ লেখকদের আঁতুড়ঘর খ্যাত এই লিটলম্যাগের রাজত্বে পাঠকদের উপস্থিতি হাতেগোনা।
লিটলম্যাগে বসা বিক্রেতারা জানান, এই চত্বর ছিল বাংলা একাডেমির সাহিত্যের বীজ। ঐতিহ্য হিসেবে এটাই ছিল প্রধান কেন্দ্র।
ছোট কাগজে বড় স্বপ্ন আঁকিয়েদের এই চত্বর পাঠকপূর্ণতা ফিরে পাবে এই প্রত্যাশা সবার।