শুধু পেসাররাই নয়। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইতিবাচক সাফল্য পেতে হলে ভূমিকা রাখতে হবে স্পিনারদেরও। এমনটাই মনে করেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সাকিবের বদলি হিসেবে বিসিবি'র ভাবনায় আছেন এই স্পিনার। সে হিসেবেই নিজের দুর্বলতা নিয়ে কাজ করছেন তাইজুল। ওয়ানডে ফরম্যাটে যেভাবেই সুযোগ আসুক না কেন তা লুফে নিতে প্রস্তুত নাটোরের এই স্পিনার।
ছুটির দুপুর মিরপুরে। ব্যস্ত শুধু মাঠ কর্মীরা। কিন্তু, হোম অফ ক্রিকেট জুড়ে যখন সুনসান নীরবতা। তখন সেন্টার উইকেট তাইজুল স্পিনে শান দিতে ব্যস্ত। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ মাঠে গড়াতে তিন সপ্তাহ। কিন্তু, সাকিবের ইনজুরিতে ২০১৬ সালের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে কপাল খুলতে পারে তাইজুলের। বাস্তবতা হলো। সাকিবের বিকল্প কেউই নেই। তবে, লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে নির্বাচকদের ভাবনার টেবিলে আছেন তাইজুল। কিন্তু, অধিনায়ক মাশরাফী ও হেড কোচ স্টিফ রোডসের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে তাইজুলের ভাগ্য। তবে, ভাগ্য যদি শিকে ছিঁড়ে তা লুফে নিতে প্রস্তুত তাইজুল।
তিনি বলেন, 'নির্বাচকরা ভাল বুঝবে কে যাবে কে যাবে না। তবে সুযোগ পেলে ভাল করার চেষ্টা করবো। এর আগে নিউজিল্যান্ডে এক ম্যাচ খেলেছি। কিছুটা হলেও আমার অভিজ্ঞতা আছে।'
২০১৫ বিশ্বকাপে একটি ওয়ানডে খেলার অভিজ্ঞতা আছে তাইজুলের। ২৩টি টেস্ট খেলা সাদা পোশাকের বিশেষজ্ঞ এই স্পিনার নিউজিল্যান্ডের মাটিতে খেলন নি কোন টেস্ট। তাই কঠিন চ্যালেঞ্জ মেনে কাজ করছিলেন ভিন্ন ভাবে।
তাইজুল বলেন, 'সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে। ব্যাটসম্যানকে বোঝা। আমি এইটা নিয়ে অনেক বেশি কাজ করছি। যখন গিয়েছিলাম তখন পেসারদের শুধু নয় স্পিনারদের কাজ করার সুযোগ আছে।'
ভারত-নিউজিল্যান্ড সীমিত ওভারের ফরম্যাটে স্পিনারদের আধিপত্য ছিলো লক্ষণীয়। তাইজুলও সিরিজটিতে চোখ রেখেছিলেন। তাই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। কিউদের বধ করতে তাই সংকল্প করেছেন এমন।
তাইজুল বলেন, 'শুধু যে পেস বোলার বাইরে ম্যাচ জেতাবে এটা বলবো না। স্পিনারদেরও ভূমিকা থাকবে। '
২৮ ফ্রেব্রুয়ারি হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্ট মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। কিন্তু, তার আগে ক্রাইষ্টচার্চে হতে যাওয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ওয়ানডেতে দলের সাথে যোগ দেয়া প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে এই স্পিনারের।