রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভেজালবিরোধী অভিযানে দেখা গেছে নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরির চিত্র। ফ্রিজে মিলেছে ফাঙ্গাস পড়া মাছ। খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৪ জনকে কারাদণ্ড এবং ৪ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
তেল পুড়ে ধারণ করেছে কুচকুচে কালো রং। আর এই তেলেই ভাজা হয় মুখরোচক ফুচকা। চারপাশে ঘুরছে তেলাপোকা। এভাবেই নিম্নমানের উপাদান দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে আইন অমান্য করে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন খাবার।

রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভেজাল বিরোধী অভিযানে মিলেছে এমন ভয়াবহ চিত্র। যার দায়ে একজনকে এক বছরের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তুষার আহমেদ বলেন, 'যে তেল তারা ব্যবহার করছেন তা পোড়া তেল। এছাড়া এখানে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি একেবারেই নেই।'
সোমবার দ্বিতীয় দিনে খাবারে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনায় নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। পঁচাবাসি খাবার রাখা, অস্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্নাসহ বিভিন্ন অভিযোগে নাইটিঙ্গেল মোড়ে নিউ ঢাকা কাবাব রেস্টুরেন্টের মালিককে ১৫ দিন ও শাহবাগ এলাকায় বিসমিল্লাহ হোটেলের মালিককে ৫ দিন কারাদণ্ড দেয়া হয়। ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয় শাহবাগ আজিজ মার্কেটের সিলভানা রেস্টুরেন্টের মালিককে। এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয় নয়াপল্টনের ডায়মন্ড রেস্টুরেন্ট, কড়াই গোস্ত এবং দস্তরখানা রেস্টুরেন্টকে। এছাড়া আরো সাতটি প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম বলেন,'জরিমানা দিয়ে আবার ক্রেতার ওপর ঐ জরিমানার টাকা বসিয়ে হোটেল চালায়। এ কারণে কারাদণ্ডের ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছি।' এ ধরণের অভিযান নিয়মিত করার দাবি সাধারণ মানুষের। তারা বলেন, 'এরা যদি শাস্তির আওতায় আসে তাহলে আমরা উপকৃত হবো। এরাই বড় সন্ত্রাসী।’
ভেজাল ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি বিভিন্ন রোগের পাশাপাশি মৃত্যুঝুঁকি তৈরি করতে পারে বলে মনে করেন পুষ্টিবিদরা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশেনর উদ্যোগে ভেজালবিরোধী অভিযান চলবে আরো ৫দিন।