দিনাজপুরের বাজারে ১৫ দিনের ব্যবধানে চালের দাম প্রতি কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ৬ টাকা। দাম কম হওয়ায় খুশি সাধারণ ও খেটে খাওয়া মানুষ। দাম কমে যাওয়ার প্রধান কারণ হিসেবে পাইকারি বিক্রেতারা বলছেন, কার্ডের বিনিময়ে সরকারের ১০টাকা কেজিতে চাল বিক্রি। মিলার ও চালকল মালিক সমিতির নেতাদের মতে, সরকারের কৃষি বান্ধব নীতিমালাসহ ৪টি কারণে চালের দাম কমেছে।
কোনো কারণ ছাড়াই দিনাজপুরের বাজারে ৩ মাস আগে চালের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। এজন্য মিলারদের সিন্ডিকেটকে দায়ী করা হয়। বাজারে ৫০ কেজির প্রতি বস্তায় কমেছে আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকা। আর মোটা চালের দাম কমেছে প্রতি বস্তায় ৪০০ টাকা।
মিনিকেট প্রতিবস্তা আড়াই হাজার টাকা থেকে কমে এখন বিক্রি হচ্ছে দু হাজারে, ২৮ চাল প্রতি বস্তা ২২শ থেকে কমে বিক্রি ১৮শ টাকায়, ২৯ চাল প্রতিবস্তা ২ হাজার থেকে কমে ১৬০০ টাকায়, গুটি স্বর্ণা প্রতিবস্তা ১৮০০ থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়। চালের দাম হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় খুশি সাধারণ ও নিন্ম আয়ের মানুষ।
সাধারণ ক্রেতারা বলেন, আগে কিনতাম ৩৫-৩৬ টাকায়, এখন ক্রয় করি ৩০ টাকা। চালের দাম ৫ টাকা কমেছে। এতে আমরা অনেক খুশি।
সরকারের ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রিসহ সামনে আমন ধান এবং মিলারদের কাছে পর্যাপ্ত চাল মজুদ এর কারণে চালের দাম কমেছে বলে মনে করছেন পাইকারি বিক্রেতারা
পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ট্যাক্স ভ্যাট কমে দেওয়ার ফলে বাজারের এ অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বস্তায় প্রতি ৫০ কমে গেছে। এতে আমরা যারা ছোট ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
চালের দাম বাড়া বা কমা নিয়ে যেভাবে মিল মালিকদের দোষারোপ করা হচ্ছে সেটা সঠিক নয় বলে দাবি চালকল মালিক সমিতির এই নেতার।
দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মুসাদ্দেক হুসেন বলেন, মিল মালিকরা এখন পর্যন্ত যে মূল্যে চাল সরবরাহ করতেছে, সেটা বাজারের সঙ্গে ও ধানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
বাংলাদেশ অটো মিল ওর্নাস এসোসিয়েশন মনে করে, ৪টি কারণে হঠাৎ করে চালের দাম কমেছে।
মেজর এন্ড হাসকিং মিল ওর্নাস এসোসিয়েশন বাংলাদেশ অটো সহ-সভাপতি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী মোহন বলেন, সরকার দশ টাকা কেজিতে যে চাল মার্কেট পর্যায়ে ছেড়েছে, সেটা ভোক্তা পর্যায়ে চলে এসেছে। একারণে মিলারের বিক্রি কমে গেছে।
এবার দিনাজপুরে ২ লাখ ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েয়ে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন।