চাঁদপুরে হঠাৎ করে মেঘনা দিয়ে তীব্র স্রোতের পানি দক্ষিণে সাগরে নামতে শুরু করেছে। ফলে শহরের পুরানবাজারের হরিসভা এলাকার নদীপাড় এখন প্রচন্ড ঝুঁকির মুখে। ইতোমধ্যে ওই এলাকার নদী তীর সংরক্ষণ বাধের বড় একটি অংশের সিসি ব্লক দেবে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে ফেলা হচ্ছে বালি ভর্তি জিওটেক্স ও সিসি ব্লক। ফারুক আহম্মদের তথ্য এবং নাইমুল ইসলাম নিরবের ছবি নিয়ে রিপোর্ট।
দেশের উত্তর পূর্বাঞ্চল থেকে নেমে আসা পানির চাপে উত্তাল চাঁদপুরের মেঘনা। ফলে তীব্র স্রোত নিয়ে দক্ষিণের সাগরে নামছে বিশাল এই জলরাশি। এতে হুমকির মুখে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারের হরিসভা এলাকা। এলাকায় পুরোনো মন্দিরসহ কয়েক হাজার মানুষের জনবসতি রয়েছে। ইতোমধ্যে স্রোতের মুখে একটি অংশে নদীপাড়ের সিসি ব্লক দেবে গেছে। এতে ভাঙন আতঙ্কে আছেন, স্থানীয় বাসিন্দারা।
একজন বলেন, ‘আমরা ইট বালু চাই না, চাই নদী ভাঙনের স্থায়ী সমাধান।’
আরেকজন বলেন, ‘এখানে ঘরবাড়ি আছে দুই হাজারের উপরে। এখন যদি বাঁধ ভেঙে যায়, তাহলে আমাদের খুব অসুবিধা হবে। আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।’
এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বালিভর্তি জিওটেক্স এবং সিসি ব্লক ফেলা শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এই এলাকাটি রক্ষায় টেকসই পরিকল্পনার কথা জানায় জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ড।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শওকত ওসমান বলেন, ‘হরিসভার যে অংশটি দেবে গেছে, সেখানে জিওব্যাগ দিয়ে প্রটেকশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীতে যাতে বাধটি ধ্বংসের মুখে না যায়, সেজন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আবু সাইদ মো. মাহবুবুল করিম বলেন, ‘নদীর অনকরত ঘূর্ণনের ফলে সরিসভা এলাকায় ভাঙন দেখা যায়। ক্রিটিকাল সার্ভে শেষ হলেই এটা ডিজাইন সার্কেলে পাঠানো হবে।’
১৯৭৩ সাল থেকে ২০০৯-১০ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর শহরের পুরানবাজারের প্রায় ৩৪০০ মিটার নদী তীর সংরক্ষণে সরকার ব্যয় করেছে ১৬০ কোটি টাকা।