রাশিয়ার নাতালিয়া বাকসশিভা ও তার স্বামী দিমিত্রি ৩০ নারীকে হত্যার পর কেটে খেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মনোবিদরা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে নরহত্যার দায়ে গ্রেফতারের পর তাদের পরীক্ষা করে এ তথ্য পেয়েছেন তারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গ্রেফতারের পর তাদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক আচরণ খেয়াল করেন তদন্তকারীরা। তখন মনোবিদদের একটি দলকে পরীক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়। পরীক্ষার পর সেই যুগলকে ‘মানসিক বিকারগ্রস্ত নরখাদক’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন মনোবিদরা। তারা আরও জানিয়েছেন, নাতালিয়া ও দিমিত্রি কমপক্ষে ৩০ নারীকে হত্যা করে কেটে খেয়ে ফেলেছেন এবং তার জন্য এদের মধ্যে কোনও অনুতাপ বা অনুশোচনা নেই।
৩০ নারীকে হত্যা করে খেয়ে ফেললেও পুলিশের সন্দেহের তালিকা থেকে অনেক দূরে ছিলেন এই দম্পতি। এলিনা ভারুশিভা নামে এক তরুণী নিখোঁজ হওয়ার পরে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পরে নাতালিয়াদের বাড়ির পিছনে একটি আবর্জনার স্তূপ থেকে এলিনার মোবাইল ফোনটি খুঁজে পান একদল নির্মাণ কর্মী। তারা সেখানে একটি বাড়ি নির্মাণের কাজ করছিলেন। মোবাইল ফোনটি পুলিশের কাছে জমা দিলে তখন সন্দেহ গিয়ে পড়ে নাতালিয়াদের ওপরে। জেরার পর সন্দেহজনক মনে হওয়ার পর গ্রেফতার করা হয় এই দম্পতিকে।