ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপে ফাইনালে উটার পর পুরো ক্রোয়েশিয়া যেন উৎসবের দেশে পরিণত হয়েছে। রাশিয়ার মস্কো থেকে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবে ক্রোয়েট সমর্থকরা সারা রাত নেচে গেয়ে উল্লাসে মাতে। অন্যদিকে, রাজ্যের হতাশা ডুবে ছিলো ইংলিশ সমর্থককেরা।
মারিও মানজুকিচের এই গোলে ম্যাচের রং পাল্টে দেয়। পাগলেটে উদযাপনে মাতে ফুটবলাররা। শুধু কি তাই। মস্কোর লুঝনিকি থেকে শুরু করে তখন এই আনন্দে আছড়ে পড়ে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবে।
দেশটির ফুটবল ইতিহাসে সর্বোচ্চ সাফল্য ফাইনালের মঞ্চ। স্বপ্নীল ট্রফি চুম্বন থেকে এক ম্যাচ দূরে থাকলেও, ফাইনালের উঠার আনন্দে যেন বিশ্ব জয়ের মতো ক্রোয়েটদের কাছে। রাতভর বাঁধ-ভাঙ্গা উল্লাসে মাতে তারা। নেচে গেয়ে দলের জয় উৎসব করেছে সমর্থকরা। ছিলো চোখ ধাঁধানো আতশবাজি।
ম্যাচটি ছিলো এক কথায় অসাধারণ। আমারা ছোট দেশ কিন্তু, আমাদের অর্জনটা অনেক বড়। এখন আমার অনুভূতি আপনাকে ভাষায় বোঝাতে পারবো না।
নাটকীয় ভাবে আমাদের জয়টা এসেছে। পিছিয়ে পড়েও ফুটবলার দারুণ ফুটবল খেলেছে। সত্যি পুরো আসরে ক্রোয়েশিয়া অসাধারণ ফুটবল খেলেছে আর তাই আমরা ফাইনালে।
জাগ্রেব যখন উৎসবে শহর। তখন লন্ডন যেন শোক গাঁথা এক পোড়া বাড়িতে পরিণত। স্বপ্নগুলো পুড়ে ছাই হয়েছে। ইংলিশ সমর্থকদের চোখে মুখে রাজ্যের আধার নেমে এসেছে। ৫২ বছর পর ফাইনালে উঠার দারুণ এক সম্ভাবনার মূত্যু মানতে পারছে না তারা। কেউ বা হয়েছেন ক্ষুদ্ধ।
ইংল্যান্ড যখন নীরবে টিম হোটেলে ফিরেছে। তখন বীরের বেশে টিম হোটেলে ক্রোয়েশিয়া ফুটবলাররা। কে জানে এই দলটি হয়তো রোববার মস্কোর লুঝনিকিতে নতুন ইতিহাস রচনা করবে?