১৯ মে ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স হ্যারি ও মার্কিন অভিনেত্রী মেগান মার্কেলের বিয়েকে ঘিরে চলছে নানা রকমের প্রস্তুতি। গণমাধ্যমকর্মীরাও ব্যস্ত সেসব প্রস্তুতি আর আয়োজনের খবর সংগ্রহ করতে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে শত শত সংবাদকর্মী জড়ো হয়েছেন লন্ডনে। মেগানের বাবা বিয়েতে উপস্থিত থাকবেন কিনা তা নিয়ে নানা রকম আলোচনার মধ্যেই জানা গেছে তার অস্ত্রপচার হওয়ার কথা থাকায় মেয়ের বিয়েতে হাজির হতে পারছেন না।
ব্রিটিশ রাজপুত্রের বিয়ে মানেই এলাহী কাণ্ড, এটাই স্বাভাবিক ঘটনা। প্রিন্স হ্যারির বিয়েও তাই আলাদা কিছু নয়। রাজকীয় এ বিয়েকে ঘিরে অনেক দিন ধরেই জল্পনা কল্পনার শেষ নেই। মেগানের বিয়ের গাউন কেমন হবে, বিয়ের কেকটা কেমন হবে এসব নিয়ে বিশ্ববাসীর আগ্রহের কোন কমতি নেই। আর সেসব খবর সংগ্রহে ছুটোছুটি করছেন সংবাদকর্মীরা। ইতোমধ্যে বিয়ের খবর সংগ্রহ করতে লন্ডনে পৌঁছেছেন শতশত সংবাদকর্মী। তারা বলছেন যেহেতু মেগান মার্কেল মার্কিন এবং অভিজাত কোন পরিবারের নয় সেজন্য বিশ্ববাসীকে মেগান ও হ্যারির বিয়ে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করবে।
সাংবাদিকরা বলেন, 'আমরা মেক্সিকোবাসী রূপকথার গল্প খুব ভালবাসি। এই বিয়েটা হিস্পানিকদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এ বিয়ে প্রমাণ করে তুমি যে দেশেরই হও, যে পরিবারেরই হও, তুমিও রাজকুমারী হতে পারবে।'
রানি এলিজাবেথ অস্ট্রেলিয়ারও রানি। তাই রাজপরিবারের বিয়ে নিয়ে আমাদের আগ্রহ অনেক বেশি। আর এ বিয়েটাতো বিভিন্নভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ একজন মার্কিন, যে আবার অভিনেত্রীও, তিনি রাজপরিবারে ঢুকতে যাচ্ছেন, যা আগে হয়নি।
হলিউডেও এ বিয়ে নিয়ে বেশ গল্প গুজব চলছে। মেগান একজন অভিনেত্রী হওয়ায় তার সহকর্মীদের মাঝেও উৎসাহের কমতি নেই বিয়েকে ঘিরে। মেগানের শুভাকাঙ্খীরা তাই বলিউডে বিশাল এক কার্ডে শুভেচ্ছা বার্তা লিখছেন মেগান ও হ্যারির জন্য।
শুভেচ্ছা বার্তা প্ররণকারীরা বলছেন, 'আমরা সবাই জানি হ্যারি এই বিয়ের মাধ্যমে রাজপরিবারের অনেক ঐতিহ্য ভাঙছেন। সেজন্য আমি মনে করি তাদের এভাবে সমর্থন জানালে তারা বিয়েতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন।'
এদিকে মেগান মার্কেলের বাবা মা'র মধ্যে বহু বছর আগেই বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। তবে মেয়ের বিয়েতে বাবা-মা দুজনেরই উপস্থিত হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত মেগানের বাবা বিয়েতে হাজির হতে পারবেন না। বুধবার তার অস্ত্রপচার হওয়ার কথা থাকায়, শনিবার মেয়ের বিয়েতে হাজির হতে পারবেন না।