কিছুতেই রোধ করা যাচ্ছে না এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটার পর একটা পদক্ষেপ নেয়া হলেও মিলছে না সমাধান। প্রতিটি পরীক্ষার নিয়মিত প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় হতাশ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। তাদের দাবি প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে আন্তরিক নয় প্রশাসন।
এসএসসি পরীক্ষার শুরু থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থাকে প্রশ্নপত্র ফাঁসের লোভনীয় অফারে সয়লাব। নামমাত্র মূল্যে কখনো বিনামূল্যেও দেয়া হয় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্ন। গ্রুপ থেকে শিক্ষার্থীদের তথ্যের সত্যতা যাচাই করে পরীক্ষার আগের রাতে তৈরি হয় বিষয়ভিত্তিক সিক্রেট গ্রুপ। ফিজিক্স কোয়েশ্চেন নামে সিক্রেট গ্রুপে রাত থেকেই চলে প্রশ্নপত্র বিতর্ক। সবশেষ পরীক্ষার দিন সকাল ৯ টায় দেয়া হয় পদার্থবিজ্ঞানের এমসিকিউ প্রশ্ন।
পরীক্ষাকালীন কেন্দ্রের শিক্ষককে প্রশ্নের বিষয়টি জানালে তিনি তথ্যপ্রযুক্তির ওপর দায় চাপান। পরীক্ষার পর কেন্দ্রের প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা বলেন, 'কাল রাত থেকেই প্রশ্নফাঁস হয়েছে। সরকার বলছে সাড়ে নয়টাই বন্ধ হয়ে যাবে। ছেলেপেলেরা সাড়ে নয়টার পরেও ঢুকতে পারছে। না পড়েই প্রশ্ন পেয়ে ২৫শে ২৫ এটাতো মেনে নেয়া যায় না। আমাদের কষ্ট বাবা মায়ের কষ্ট পুরোই অর্থহীন।'
এ বিষয়ে ঐ কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সচিব জানান, দ্রুততম সময়ের মধ্যে প্রশ্নপত্র ফাঁস পুরোপুরি বন্ধ করবেন তারা। এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের একজন সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে র্যাব ২।