উত্তরের প্রবেশদ্বার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জকে নিজেদের দখলে রাখতে চায় বড় তিন দল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এই সংসদীয় আসনে মাঠ গোছাতে কোমর বেঁধে নেমেছেন নেতাকর্মীরা।
ভোটের মাঠে নিজেদের শক্ত অবস্থান দাবি করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। আর নিজেদের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে মরিয়া জাতীয় পার্টি।
২০১৪ সালের নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে সংসদ সদস্যের পদ দখল করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ। এরপর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। আঠারোর সংসদ নির্বাচনে দলে একাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী থাকলেও কোন কোন্দল নেই দাবি করে এবার নৌকা নিয়ে ভোটের মাঠে লড়তে চান আবুল কালাম।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, দলীয় কোন কোন্দল নেই। শান্তিপূর্ণ অবস্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে এবং আমাকে মানুষ বিজয়ী করতে চায়।
১৯৭৯’র পর ২০০১ এ বিজয়ের মধ্য দিয়ে এ আসনে অস্তিত্বের জানান দেয় বিএনপি। ২০১৪’র নির্বাচনে অংশ না নিলেও আসন্ন নির্বাচনে আবারো ধানের শীষের জয় ছিনিয়ে আনতে মাঠ গোছানোর কাজ শেষ পর্যায়ে বলে দাবি বিএনপি নেতার।
পৌর বিএনপির সভাপতি বলেন, ভোট সঠিক হলে আমরা আশাবাদী ব্যাপক ভোটের মাধ্যমে আমরা বিজয়ী হবো।
এছাড়া ১৯৯১ ও ১৯৯৬এ পরপর দু’বার লাঙলের প্রার্থী জিতলেও পরবর্তী নির্বাচন গুলোতে তেমন কিছু করতে পারেনি এরশাদের জাতীয় পার্টি। দলটি মহাজোটে যুক্ত হওয়ার পর নানাভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে দাবি করে এখন মানুষের কাছে লাঙলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে মনে করেন দলের এই নেতা।
জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন সঠিক হলে শুধু এখানে নয় গাইবান্ধার ৫টি সিট দখল করতে পারবে জাতীয় পার্টি।
গোবিন্দগঞ্জে ১৯৭৩ এর নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী জিতলেও ৭৯তে জয় পায় বিএনপি। ৮৬ ও ৮৮’র নির্বাচনে বিজয়ী হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী। ৯১ ও ৯৬এ লাঙল আর ২০০১ এ বিজয়ী হয় ধানের শীষ। ৩৫ বছর পর ২০০৮এ নৌকা আসনটি পুনরুদ্ধার করলেও ২০১৪’র নির্বাচনে জয় পায় স্বতন্ত্র প্রার্থী।