চট্টগ্রামের উইকেট বিবেচনায় নিয়ে প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ৬ স্পিনার। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য করনীয় সবই করবে টিম ম্যানেজমেন্ট। স্পিনারদের সাম্প্রতিক ফর্ম বিচার করেই তাদের সুযোগ দেয়া হবে মূল একাদশে। জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
এছাড়া অভিজ্ঞতার বিচারে এগিয়ে থাকার কারণেই দলে ডাকা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২ টেস্টের জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াডে আছেন ৬ জন স্বীকৃত স্পিনার। মিরাজ, তাইজুল আর নতুন ডাক পাওয়া নাইমরা ছিলেন ১৪ সদস্যের দলেই।
তবে সাকিবের ইনজুরির পর নেয়া হয়েছে আরো ৩ জনকে। প্রথমে সানজামুল ও তানভীর হায়দার আর সবশেষ ডাকা হয়েছে আব্দুর রাজ্জাককে। হঠাৎ করে কেনো এই স্পিনার প্রীতি নির্বাচকদের? প্রশ্ন ছিলো প্রধান নির্বাচকের কাছেই।
'টেস্ট ক্রিকেটে সবসময় স্পিনের ওপর নির্ভর করেই আমরা ঘরের মাটিতে খেলছি। দলের জন্য সবচেয়ে বেশি যেটা দরকার সেটাই করা হবে। এই টেস্টে আমরা জিততে চাই। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতে চাই। যাদেরকে আমরা সুযোগ দিয়েছি সবার কাছেই সমান প্রত্যাশা থাকবে।'
৪ বছর পর আব্দুর রাজ্জাকের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি হয়েছে সর্বাধিক আলোচিত। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে রাজ ৫০০ উইকেটের মালিক হয়েছেন ক'দিন আগেই। টাইগারদের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও খেলেছেন অনেক দিন। তাই অভিজ্ঞতাকে মূল্যায়ন করেই এই টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়েছে রাজ্জাককে।
প্রধান নির্বাচক বলেন, 'রাজ্জাক যেহেতু অভিজ্ঞ খেলোয়াড়। আর সাকিবের মতো একজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যেহেতু ইনজুরিতে তাই আমরা এটা চিন্তা করলাম। সানজামুল তো একেবারেই নতুন আর তাই ফর্মের কথা চিন্তা করেই কিন্তু আমরা অতিরিক্ত স্পিনার নিয়েছি। এখন যার অবস্থা ভালো দেখবো তাকে নিয়েই চিন্তাভাবনা করবো।'
নান্নুর স্কোয়াডে স্পিনারের ছড়াছড়ি। চট্টগ্রামের উইকেটও স্পিন স্বর্গ হবে, অনুমান তাই বলে। লঙ্কানরাও রসদ সাজিয়ে এনেছেন। এক রঙ্গনা হেরাথই টেস্টে শ্রীলঙ্কার স্পিনের সমার্থক হয়ে আছেন। তাই যে গেমপ্ল্যান বাংলাদেশ সাজাবে, তা বাস্তবায়ন করতে সেরা একাদশ বাছাইয়ে বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে নির্বাচকদের।