রাজধানীর মিরপুরে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্র অনলাইন ভিত্তিক আত্মঘাতী গেইমে আসক্ত হয়ে ঘুমের বেশ কয়েকটি ট্যাবলেট খেয়ে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অনলাইন ভিত্তিক একটি গেমে আসক্ত হয়ে ঘুমের ওষুধ খেয়েছিল বলে ছেলেটি স্বীকার করেছে। তবে, ওই ছাত্রের বাবার দাবি, কোন গেমে আসক্ত ছিলনা তার ছেলে।
ঘুমের বেশ কয়েকটি ট্যাবলেট খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে গত মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করা হয় মিরপুরের এই ছেলেটিকে। প্রথমে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি না হলেও পরবর্তীতে ছেলেটি জানায়, অবসর সময়ে সে কম্পিউটার, ফেইসবুক আর ইউটিউব নিয়ে ব্যস্ত থাকতো। অনলাইন ভিত্তিক গেইমটি সম্পর্কে জানতে চাইলে গেইমটির নানা দিক সম্পর্কে জানায় সে। তবে, ব্লু হোয়েল গেইম খেলার বিষয়টি অস্বীকার করে ছেলেটি।
গেইম খেলা ছেলেটি বলে, ‘লিংকগুলো পাওয়া যায় ডার্ক ওয়েব থেকে। আর এটাকে বলা হয় সাইবার জগতের অন্ধকার জগত। সেখানে সবগুলো ক্রাইমের জিনিস পাওয়া যায়। সেখানে অনেক অনেক কঠিন লেভেল থাকে। যেমন সেখানে মাথা ন্যাড়া করতে বলে বা আরও খারাপ কিছু বলে। আর যখন এটা সহ্য করা ক্ষমতা থাকে না তখন সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।’
সে আরও বলে, ‘আমরা ধারণা পুলিশ যদি বাংলাদেশে একটু খুঁজে এই বিষয়ে তাহলে দেখা যাবে এই ব্লু -হোয়েলের প্রচুর অ্যাডমিন আছে।’
মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক জানায়, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই এই গেইম খেলার বিষয়টি ডাক্তারের কাছে স্বীকার করে ছেলেটি। অনলাইন ভিত্তিক এই গেইম থেকে ছেলেটিকে বিভিন্ন কাজ দেয়া হয়। আর এই গেইমের নেশায় পড়ে সে ঘুমের ওষুধ খায় বলে জানান চিকিৎসক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহকারী রেজিস্টার ডা. মুক্তাদির রশিদ বলেন, ‘ছেলেটির মা আমাকে বলেছে সে ব্লু -হোয়েল গেইম এর সাথে জড়িত ছিল।’
সম্প্রতি রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে এই অনলাইন ভিত্তিক আত্মঘাতী গেইম ব্লু -হোয়েল খেলে অনেকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। এই আত্মঘাতী এই গেইমটি নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।