২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে কোল্ড ড্রিংক, পানি, চিপস, জুস ও আইসক্রিমের খুচরা মূল্য ৫ টাকা বেশি নির্ধারণ করেছে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো- ইপিবি। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এই মূল্যবৃদ্ধিকে আইন হিসেবে মানলেও ক্যাবের দাবি, ইপিবির এই সিদ্ধান্ত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার খাবার স্টল-রেস্টুরেন্টে দাম বেশি রাখার অভিযোগ নতুন নয়। তবে এবার স্বয়ং মেলার আয়োজক- ইপিবি-ই মেলার ভেতরে ৫ টাকা করে বাড়িয়ে দিয়েছে কোল্ড ড্রিংক, পানি, চিপস, জুস ও আইসক্রিমের দাম। তেমন প্রচারণা না থাকায় কেনার আগে তাই অনেক গ্রাহকই জানছেন না প্রকৃত দাম।
এমনকি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরও বৈধ হিসেবেই দেখছে এমআরপি'র বাইরে ইপিবি'র ধার্য করা এই বর্ধিত মূল্যকে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখার আলম রিজভী বলেন, 'ভোক্তা অধিকার আইন অনুযায়ী কোনো পণ্যের গায়ে যেটা লেখা আছে সেটা হবে কিন্তু কোনো কারণে কর্তৃপক্ষ মনে করে এটা থেকে মূল্য বেশি নেয়া প্রয়োজন। তাহলে সেটাও ধার্যকৃত মূল্য হিসেবে ধরা হবে। আমরা কেবল আইন বাস্তবায়ন করবো। কিন্তু আইনটা যারা তৈরি করেছে তারা কিভাবে আইন তৈরি করেছে এটার কেবল তরাই ব্যাখ্যা দিতে পারবে।'
তবে, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ- ক্যাব'র দাবি, এমআরপি'র বেশি দাম নির্ধারণে ইপিবি'র এই সিদ্ধান্ত দণ্ডনীয় অপরাধ।
ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. হুমায়ুন কবির বলেন, 'ইচ্ছামতো কম্পিউটারে লিখে মূল্য নির্ধারণ করবেন আর বলবেন এটার এই মূল্য, এটা হবে না। এটার অনুমতি নিতে হবে। সেটা বোতল হোক আর কন্টেইনার হোক সেটার গায়ের মধ্যে লেখা থাকতে হবে। তারা যেটা করতেছে আমরা মনে করি এটা ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করছে, কোনো আইনেই তারা এটা বৈধতা দিতে পারবে না।'
মেলার আগে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণকারী প্রতিষ্ঠান ও রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ইপিবি। কিন্তু বিভিন্ন পণ্যের বাড়তি দাম নির্ধারণ করে এবার নিজেদের অবস্থানকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছে মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠানটি।