ইপিএলে টেবিলের শীর্ষ দুই দল, এফএ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে একেবারে উল্টো দুই চিত্রই দেখালো। চতুর্থ স্তরের দলের কাছে জয়বঞ্চিত থাকতে হলো লিভারপুলকে। আর বড় জয় তুলে নিলো চেলসি। অ্যানফিল্ডে প্লাইমাউথ আরজাইলের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে হোঁচট খেয়েছে অল রেডরা।
অন্যদিকে, লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়া "জন টেরি"কে ছাড়া ১০ জনের দল নিয়েই পিটারবোরো ইউনাইটেডকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অল ব্লুজ।
প্লাইমাউথ আরজাইল। ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলের চতুর্থ স্তরের এই দলটির নাম সে দেশের বাইরে এর আগে কেউ শুনেছে কি না, সন্দেহ। কিন্তু, আর যা'ই হোক, লিভারপুল সমর্থকদের কাছে এতোক্ষণে আরজাইল পরিচিত নাম'ই। এফএ কাপে প্রিমিয়ার লিগ জায়ান্টদের সহজ জয়ের প্রত্যাশা মাটি চাপা দিয়েছে প্লাইমাউথ আরজাইল।
হিসেবের খাতায় বহুক্রোশ পিছিয়ে থাকা দলটির জন্য ড্র'য়ের মাহাত্ম্যটা আরো বড় হয়েছে, খেলাটি লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে হওয়ায়। গোলশূন্য ম্যাচের পর এফএ কাপে ভাগ্য নির্ধারণে ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে হবে আরো একবার।
লিভারপুলের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ একাদশ মাঠে নামানোর মাশুল এভাবে গুণতে হবে, তা হয়তো ম্যাচের আগে ক্লপের ভাবনায় ছিলোনা। অ্যানফিল্ডে কখনোই না জেতা আরজাইলের জালে ২১ মিনিটে অরিগির জড়ানো বলটি রেফারির ফ্রি কিকের সিদ্ধান্তে বাতিল হবার পর, সফরকারীদের গোলমুখের গেরো আর খুলতে পারেনি লিভারপুল।
তবে, আরেক ম্যাচে ভুল করেননি চেলসি কোচ অ্যান্তোনিও কন্তে। গোলমেশিন কস্তা না থাকলেও, ফ্যাব্রিগাস, উইলিয়ান, পেদ্রোদের নিয়ে শক্ত একটি দলকেই খেলিয়েছেন তিনি।
৬৭ মিনিটে জন টেরির লাল কার্ড আর ৭০ মিনিটে একটি গোল হজম: এ দুই ছাড়া পিটারবোরোকে হারাতে বেগ পেতে হয়নি চেলসির।
১৮ মিনিটে পেদ্রোর গোলের পর, ৪৩ মিনিটে বাতসুয়াইয়ের গোলে প্রথমার্ধ্বে ২-০'তে লিড নেয় কন্তের দল।
কস্তা-হ্যাজার্ডদের শূন্যস্থান পূরণে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পেদ্রোর অ্যাসিস্টে দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতে গোল আসে উইলিয়ানের পা থেকে।
৭৫ মিনিটে বাতসুয়াইয়ের পাসে দারুণ ফিনিশিং পেদ্রোর। চেলসির বড় জয়ে জোড়া গোলে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে রাতটা আলোকিত করে রাখেন এই স্প্যানিশ তারকা।