কাউন্সিল অনুষ্ঠানের এক বছরেও দল গোছাতে পারেনি বিএনপি, নামতে পারেনি রাজপথে। এ অবস্থায় নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও সিদ্ধান্তহীনতার দায় স্বীকার করছেন শীর্ষ নেতাদের কেউ কেউ। এ নিয়ে অসন্তোষও রয়েছে দলে। তবে কোনো কোনো নেতা মনে করেন, নেতৃত্বের দুর্বলতা নয়, সরকারের দমন পীড়নেই বিধ্বস্ত হয়েছে বিএনপি।
৫ই জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্দোলনে ব্যর্থতাসহ নানা কারণে অনেকটাই বিধ্বস্ত হয়ে পড়া দলকে চাঙ্গা করতে গত বছরের ১৯শে মার্চ ৬ষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠান করে বিএনপি। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এ কাউন্সিলের পর ৪ দফায় দলের ৫০২ সদস্যের বিশালাকারের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা ও মহানগরের কমিটি গঠনের কাজ শুরু হলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় গতি পায়নি তা। এখন পর্যন্ত দাবি আদায়ের আন্দোলন বলতে, ঘরোয়া সভা-সমাবেশ আর সংবাদ সম্মেলনেই সীমাবদ্ধ রয়েছে দলটি। অনেকক্ষেত্রেই আন্দোলনের দায় সেরেছে শুধুমাত্র মৌখিক নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েই।
মেজর অব হাফিজ উদ্দিন বলেন, এখন তো দেশে রাজনীতির কিছু নাই। সাধারণ মানুষের রাজনৈতিক দলের উপর থেকে আস্থা চলে গিয়েছে। এক ধরনের নিঃস্পৃহতা কাজ করেছে রাজনীতিতে। যে জন্যে মনে হচ্ছে কর্মকাণ্ড নাই। ইস্যু ভিত্তিক আন্দোলনে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে না পারার অসন্তোষ ও চাপা ক্ষোভ রয়েছে এই নেতার মনে।
মেজর অব হাফিজ উদ্দিন বলেন, বাম দলের ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে কতো তীব্র আন্দোলন করছে। বিএনপির মত বিশাল দল তাদের কাছ থেকে মানুষ শক্তিশালী কিছু আশা করে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, 'আজকে রাজনীতি অসম অবস্থায় চলছে। এক পক্ষ সব কিছু করছে বাকিদের বাইরে রাখা হয়েছে।'
তবে নেতৃত্বের ব্যর্থতার চেয়ে সরকারের আচরণ ও নানাবিধ প্রতিবন্ধকতাকেই ঘুরে দাঁড়ানোর অন্তরায় হিসেবে দেখছেন দলের স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, রাজনীতিবিদদের জনগণ রাজনীতি দিয়ে মোকাবেলা করবে, কিন্তু রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মোকাবেলা করার জন্যে রাজনৈতিক শক্তি প্রস্তুত নয়।
তবে সাংগঠনিক ভিত্তি মজবুত করে শিগগিরই আন্দোলনের মাঠে নামবে বিএনপি, আবারো এমন কথাই জানালেন শীর্ষ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ।